প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের জন্য সরকারের ওপর গুরুত্বারোপ

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সরকারের ধারাবাহিকতা রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মগবাজার-মৌচাক ও মালিবাগ ফ্লাইওভার উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বের কাছে বর্তমানে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত। এই উন্নয়নকে ধারাবাহিক রাখতে হবে। আর এর জন্য সরকারের ধারাবাহিকতা থাকা দরকার।

শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার দেশ ও জনগণের জন্য নানা উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে। আরও নানা উন্নয়ন পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী নির্বাচনে ফের জয়ী হলে বাকি উন্নয়ন কর্মকাণ্ড শেষ করতে পারব।  কারণ এই সরকার দেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের তালিকায় নিয়ে যেতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।

এ সময় রাস্তাঘাট, সড়ক, ফ্লাইওভারসহ সরকারি বিভিন্ন স্থাপনা জাতীয় সম্পদ বিবেচনা করে এসবের ব্যবহারে যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

পাশাপাশি ট্রাফিক রুল মেনে চলার মাধ্যমে সড়কের যানজট নিরসন ও অন্যান্য সমস্যা সমাধানে আন্তরিক হওয়ার জন্যও জনগণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ফ্লাইওভারের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রীর পাশে ছিলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। অন্যদিকে পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র মো. ওসমান গণি, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ছিলেন মৌচাক এলাকায় বানানো অনুষ্ঠান মঞ্চে।

মগবাজার-মৌচাক-মালিবাগ ফ্লাইওভারের সব অংশ খুলে দেয়ার ফলে ৬ বছরের অপেক্ষা ও দুর্ভোগের অবসান ঘটল। তিনভাগে নির্মিত ৮ দশমিক ২৫ কিলোমিটারের এ ফ্লাইওভারটি যাতায়াতে গতি সঞ্চার করবে বলেই ধারণা পরিবহন শ্রমিক ও সাধারণ যাত্রীদের।

এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ২১৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকার অর্থায়ন করেছে ৪৪২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি) এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ওএফআইডি) দিয়েছে ৭৭৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা।

প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা জানান, চার লেনের এ ফ্লাইওভারে ওঠানামার জন্য ১৫টি র্যাম্প রয়েছে। তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা, বিএফডিসি, মগবাজার, হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল, বাংলামোটর, মালিবাগ, রাজারবাগ পুলিশলাইন এবং শান্তিনগর মোড়ে ওঠানামা করার ব্যবস্থা রয়েছে। এটি রিখটার স্কেলে ১০ মাত্রার ভূমিকম্প সহনীয়। প্রতিটি পিলার পাইলের গভীরতা প্রায় ৪০ মিটার।

২০১৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ৯ কিলোমিটার লম্বা ফ্লাইওভারটির নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। ফ্লাইওভারটির কাজ তিন ভাগে করা হয়।

গত বছরের ৩০ মার্চ সাতরাস্তা-মগবাজার-হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল অংশে যান চলাচল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ওই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর ফ্লাইওভারের ইস্কাটন-মৌচাক অংশের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

তৃতীয় ধাপে এফডিসি মোড় থেকে সোনারগাঁও হোটেলের দিকের অংশটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয় এ বছরের ১৭ মে।

আজ চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হল ফ্লাইওভারের মগবাজার-মৌচাক-মালিবাগ-শান্তিনগর-রাজারবাগ অংশ।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর